
রিয়াজ ওসমানী
২৩ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপিকে অন্তত কিছুটা কৃতিত্ব দেয়া যায় নীতিগতভাবে বাংলাদেশকে নতুন কিছু দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা জন্য। দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় তারা যেই আমুল পরিবর্তন আনতে চায় তা অবশ্যই বিবেচনার দাবিদার। কিন্তু তাদের ইতিহাস জঘন্য, তারেক জিয়ার মতো অপরাধী লন্ডন থেকে কলকাঠি নাড়াচাড়া করছে আর বিএনপি খুব সম্ভবত আবার জামাতকে নিয়েই ক্ষমতায় আসবে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রস্তাবনাগুলো আনলে আরো উৎসাহিত বোধ করতাম।
————————————-
বিএনপির ২৭ দফার ঘোষণা আসার পর দেখা গেল যে সেখানে বাংলাদেশকে একটি রংধনু দেশ হিসেবে গড়ে তোলার একটা দফা ছিল। বিএনপি এখানে মূলত সকলকে মিলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়ে তোলার কথা বলেছে। তবে রংধনুর কথাটা শুনে কেউ কেউ প্রশ্ন করেছে যে তার গুরুত্বটা কি এলজিবিটিদের (যৌন সংখ্যালঘুদের) নিয়ে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তখন এই প্রসঙ্গে উত্তর দেনঃ “আপনি সবই কিন্তু একবারে করতে পারবেন এমন কোনো কথা নাই। সেটা করার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করারও একটা ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক অবস্থান মানুষের চিন্তা-চেতনা সেটাকে মাথায় রাখতে হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি গণতন্ত্র যখন বলেন তখনতো সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের গুরুত্ব দেয়াটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। তা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমকামীদের অধিকার যেটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে সেটা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত কী”?
এই বিষয়ে আমার বক্তব্যঃ
কিছু বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হলো কবে থেকে? প্রকৃত গণতন্ত্রের রূপ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছা পরিস্ফুটিত হওয়ার সময়ে সংখ্যালঘুদের স্বার্থের ব্যাঘাত না ঘটানোর সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা। সমকামীদের জন্য আলাদা স্বীকৃতির তো কিছু নেই। দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা একটি নির্দিষ্টভাবে সংশোধন করতে হবে আর আসন্ন বৈষম্য বিরোধী আইনে “যৌন প্রবৃত্তি” (সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন)কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই যা!