
উইকিলিক্সে তো কত কিছুই বের হয়ে আসলো। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন অধ্যাপক ইউনুসকে অপদস্ত না করতে, না হলে বিশ্ব ব্যাংক কতৃক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তার সব নথিই বের হয়ে এসেছে। খালি একটা নথিই খুঁজে পেলাম না। ইউনুস সাহেব যে নিজেই ক্লিন্টনকে অনুরোধ করেছিলেন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করতে বিশ্ব ব্যাংককে চাপ দিতে তার কোনো ইমেল, চিঠি বা কন্ঠালাপের ফাঁস নজরে আসেনি। নেটে বহু মানুষের সাথে আলাপ করেও এরকম কিছুর হদিস পেলাম না।
অথচ এরকম প্রমাণাদি ছাড়া ইউনুস সাহেবের উপর এত বড় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ধোপে টিকে কী করে? শেখ হাসিনা আর তার পুত্র জয় যা বলেন তার সবই কি আদালতের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে পারে? এমনও তো হতে পারে যে গ্রামীন ব্যাংককে কেন্দ্র করে ক্লিন্টন পরিবারের সাথে অধ্যাপক ইউনুসের দীর্ঘ বন্ধুত্বের আদলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশ সরকারের উপর পদ্মা সেতু নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে।
ইউনুস সাহেব যে নিজেই হিলারিকে অনুরোধ করেছিলেন হাসিনাকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করবেন বলে হুমকি দিতে তার শক্ত প্রমাণাদি কই? সবাই কালেমার মতো তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রচারণা গিলেছে এবং তোতা পাখির মতো তা পুনরাবৃত্তি করেছে। কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে দৌড়!