রিয়াজ ওসমানী

৩ জুন ২০২১

ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য বিদায় এবং এর সাথে বিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি নতুন জোট সরকারের আগমন আমাদেরকে কিছুটা স্বস্তির জায়গা করে দেবে। তবে নতুন সরকার প্রথম থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছে৷ ফিলিস্তিনিদের নিয়ে দুই রাষ্ট্র গঠনে ইসরায়েলের আপাতত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়বে না। তবে দুই-তিন বছর পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী এই দিকে নজর দিতে পারেন। এবং সেই নাটক অনেকবার দেখা হয়ে গেছে৷ স্বপ্নেও কেউ সেটার সাফল্য কল্পনা করতে পারছে না। তবুও তিন পক্ষকেই আবারও প্রচেষ্টায় লিপ্ত হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তিন পক্ষ বলতে আমি বুঝাচ্ছি ১) ইসরায়েলি সরকার ২) মার্কিন সরকার এবং ৩) ফিলিস্তিনিদের মাঝে পশ্চিম তীরে অবস্থিত ফাতাহ গোষ্ঠি, আবু মাজেন যার নেতা। ফিলিস্তিনিদের মাঝে গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস গোষ্ঠিকে তার আগেই সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে হবে। সেটা কীভাবে করা যাবে তার কোনো কৌশল আমার জানা নেই। তবে যত দিন ফিলিস্তিনিদের মাঝে হামাস আছে ততদিন ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

সেটার কারণ ১) বিগত শান্তি প্রক্রিয়াগুলোর শেষাংশের সময়ে হামাসের সকল আত্মঘাতী কার্যকলাপ (উদাহরণঃ ইসরায়েলি স্কুল বাচ্চাদেরকে আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যা করা); ২) হামাস যত দিন খানিকটা সময় বিরতি দিয়ে কিছু দিন পর পর ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে নতুন করে দাঙ্গা শুরু করবে, তত দিন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে গাজায় বোমা মেরে হামাসের লোক এবং সাথে অনেক নিরীহ ফিলিস্তিনি মানুষ হত্যা করবেই (এবং সকল শান্তি আলোচনা থেকে বিরত থাকবে); ৩) ফাতাহের নেতৃত্বে ইসরায়েলের সাথে ভবিষ্যতের চূড়ান্ত ফিলিস্তিনি চুক্তি হামাস মেনে না নেয়ার সম্ভাবনা, এবং একই সাথে ইসরায়েলকে চিরতরে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হামাসের ব্যর্থ অঙ্গিকার ও প্রচেষ্টা।

*********************

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s